মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা , মৃত ২ আহত ২ : চাঞ্চল‍্য এলাকায়

3rd July 2021 1:01 pm বাঁকুড়া
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা , মৃত ২ আহত ২ : চাঞ্চল‍্য এলাকায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  সোনামুখীতে পথ দুর্ঘটনার বিষয়ে নতুন নয় এর আগেও পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই তবে এবার পথ দুর্ঘটনায় এক দোকান মালিক সহ মৃত্যু হল দুজনের আহত আরও দুই । শুক্রবার রাত্রি আট টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সোনামুখী পৌরশহরের রথতলা এলাকায় । মৃত দুই ব্যক্তির নাম রণজয় দত্ত বয়স ৩৭ বৎসর । বাড়ি সোনামুখী পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের লাল বাজার এলাকায় ও আশুতোষ দাস বয়স ৫২ বৎসর । বাড়ি সোনামুখী পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে ।

স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা যায় , একটি লরি বাঁকুড়ার দিক থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল সেই সময় সোনামুখীর রথতলায় আশুতোষ দাসের পানের গুমটিতে সজোরে ধাক্কা মারলে ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় দোকান মালিক আশুতোষ দাসের এবং আহত তিন জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে রণজয় দত্তের মৃতু হয় এবং আহত দুজনের মধ্যে এক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় এবং দেবাঞ্জন হালদারকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয় । উত্তেজিত জনতা লরির চালকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । যদিও সোনামুখী থানার পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন । পুলিশ মৃতদেহ দুটিকে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় । ঘাতক লরিটিকে আটক করে সোনামুখী থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।